আওয়ামী লীগ বরিশালের সাধারণ মানুষকে ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তার বড় ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বর্তমান মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাদিকও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
জাপার মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, “উনারা (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) বিশিষ্ট ভদ্রলোক। মুখে বলে এক কথা, কাজে অন্য কথা। আপনারা দেখুন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কথা বলে, টেবিল ঘড়ি মার্কা নিয়ে জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর বললেন, প্রধানমন্ত্রী ও নৌকার জয় হয়েছে। ভোটের আগে এসব গান গেয়ে ভোট চাইলে তখন তিনি জনগণের আসল রায় দেখতে পেতেন।
“আমরা একই দৃশ্য বরিশালের ভোটেও দেখতে পাচ্ছি। চাচা নিজের ভাইপোর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন। আর বিজয়ী হলে দেখবেন, চাচা-ভাইপো মিলেই নগর চালাচ্ছেন। জনগণের সঙ্গে তারা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করছেন। সুতরাং, সাধু সাবধান।”
সকালে অক্সফোর্ড মিশন রোড থেকে বের হয়ে ব্রাউন কম্পাউন্ড পর্যন্ত পদযাত্রা ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন তাপস।
এ সময় তিনি বাসদ বরিশাল শাখার সদস্যসচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তীর দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, “ভোলার গ্যাস বরিশাল বিভাগের জন্য আগে চাই। নির্বাচন শেষে এটা আমারও প্রধান দাবি হবে।”
কেবল তাপসই নন, আগামী ১২ জুন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সব প্রার্থীই মাঠে রয়েছেন। বিভিন্নভাবে নিজের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন তারা।
এই নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপন।
তিনি নগরীর সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে।
বাবার দায়িত্ব তাকে দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে যাচ্ছেন রূপন।
সকাল থেকে নগরীর ৩০ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালান এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। গড়িয়ারপার, সোলনা বাজার, কলাডেমা, কাশিপুর চৌমাথা, মহাবাজ পোল থেকে ইসলামিয়া কলেজ পর্যন্ত এলাকায় ভোটারদের কাছে যান, তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।
৩০টি ওয়ার্ডের মোট ১২৬ কেন্দ্রে এবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত মেয়র প্রার্থী। তবে এদের মধ্যে নৌকা, লাঙ্গল, হাতপাখা ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের চার প্রার্থীর প্রচারই বেশি চোখে পড়ছে।