অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি ব্যাখ্যা দেব।”
Published : 03 Jan 2024, 11:23 PM
সরকারি কর্মকর্তা হয়ে বগুড়া-১ আসনে স্ত্রীর পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে পুলিশের একজন অতিরিক্ত ডিআইজিকে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শাহনাজ পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল হক মিলনকে তলব করা হয়েছে।
তাকে বৃহস্পতিবার সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল হক মিলনের স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তবলা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চিঠিতে বলা হয়েছে, ২ জানুয়ারি দৈনিক বগুড়া অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়, আপনি হামিদুল হক মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত আছেন। আপনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির স্বামী।
“চাকরি থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এলাকায় এসে স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপির পক্ষে নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছেন। এ ছাড়া আপনার প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো নির্বাচনি এলাকা বিপর্যস্ত করে রেখেছেন।
“সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। যা আপনার পেশাগত আসদাচরণের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০০৮ এর ১৪ (১) (২) নম্বর বিধির সুস্পষ্ট লংঘন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশ করা হবে না তা বৃহস্পতিবার সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হল।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি ব্যাখ্যা দেব। সরকারি গাড়ি ব্যবহারের প্রশ্নই উঠে না। যারা আমাকে হেয় করার জন্য অভিযোগ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।”