পুলিশ বলছে, আশ্রয়কেন্দ্রের এক বাসিন্দা সিলিন্ডারের মুখ খুলে দেখতে গেলে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
Published : 24 Feb 2024, 06:52 PM
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ নয়জনের মধ্যে এক শিশু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
দগ্ধদের মধ্যে ছয়জন চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন, বাকি দুজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার সকালে আশ্রয়ন প্রকল্প ৩ এর ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে ভাসানচর থানার এস আই নূর হোসেন জানান।
তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রের রোহিঙ্গারা এনজিও মাধ্যমে সরবরাহ করা সিলিন্ডারের গ্যাসে রান্নার কাজ করেন। রুম-ই-৬ এর বাসিন্দা সফি আলম তার খালি সিলিন্ডার জমা দেওয়ার আগে বারান্দায় বসে মুখ খুলে দেখছিলেন। তাতে সিলিন্ডারের নিচে জমা গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
“তার প্রতিবেশীর ঘরে তখন রান্না চলছিল। ফলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে যায়। তাতে ৫ শিশু, দুজন নারী এবং দুজন পুরুষ দগ্ধ হন।”
দগ্ধদের ভাসানচর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে সাত জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয় বলে জানান নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাতজনের মধ্যে তিন বছর বয়সী রাসেলকে হাসপাতালে আনার পরপরই মৃত ঘোষণা করা হয়।
বার্ন ইউনিটে ভর্তি বাকিদের মধ্যে আমেনা খাতুনের (২৬) শরীরের ৮ শতাংশ, জুবাইদার (২৫) শরীরের ২৫ শতাংশ, মো. সোহেলের (৫ বছর ৬ মাস) শরীরের ৫২ শতাংশ, রুবি আলমের (৫) শরীরের ৪৫ শতাংশ, রুশমিনার (৩) শরীরের ৫০ শতাংশ, মোবাশ্বেরার (৩বছর ৬ মাস) শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আমেনা ছাড়া বাকি সবার শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আর সফি আলম ও বশির উল্লা নামে দুজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেখে চিকিসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে জানিয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”