সামান্য ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়; যার পরে মিটমাট হয়েছে বলেন জানান কৃষক দলের এক নেতা।
Published : 04 Feb 2025, 09:44 PM
ফরিদপুর সদর উপজেলায় কৃষক দলের এক কর্মীর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান।
আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহিরের সমর্থকের সঙ্গে একই কমিটির এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কৃষক দল নেতা ফরিদ বলেন, “জহিরুলের সমর্থক জাফর শেখ আমার সমর্থক খসরুর একটি মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যান। মোবাইলটি বিদেশ থেকে আনা। এটি ফেরত চাইলে খসরুর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় খসরুকে মারধর করেন তারা।
“খবর পেয়ে জাফরকে মোবাইল করলে তার সঙ্গে আমার উচ্চবাচ্য হয়। পরে জহিরুল ও জাফর লোকজন নিয়ে এসে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাতবোমা নিক্ষেপ করেন। তবে সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে রুখে দেয়।”
মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে জহিরুল বলেন, “আমার সমর্থক জাফর শেখের মেয়েকে ডিস্টার্ব করেন ফরিদের এক সমর্থক। এ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। বিকালে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ফরিদের লোকজন। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হয়েছেন।”
ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, “সামান্য ঘটনা নিয়ে ফরিদ ও জহিরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। কোনো ভাঙচুর, গুলি কিংবা হাতবোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি। পরে মিটমাট হয়ে গেছে।”
ওসি আসাদউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, কোনো গুলি কিংবা বোমা হামলার ঘটনা ঘটেনি। একটু উত্তেজনা ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।