১১ মার্চ বাড়ির পেছন থেকে বাদীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
Published : 16 Mar 2025, 10:12 PM
বরগুনায় স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছিলেন বাবা। তার এক সপ্তাহের মাথায় বাড়ির পেছনেই মেলে বাদীর লাশ। সারাদেশে এই ঘটনা আলোচিত হয়।
রোববার নিহত ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
একজন ছাত্রনেতার মোবাইলে কল করে লণ্ডন থেকে কথা বলেন বিএনপি নেতা। এ সময় তিনি নিহতের স্ত্রীকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করেন।
তারেক রহমান বলেন, “আপনারা যাতে ন্যায়বিচার পান, আমরা সেই বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এ এ বিষয়টি বলতেই আপনার সঙ্গে কথা বলছি। আপনার পাশে আমার দল ও দেশের মানুষ রয়েছে।”
এ সময় নিহতের স্ত্রী বলেন, “মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে আমার স্বামী মার্ডার হয়েছেন। তিনটি সন্তান নিয়ে আমি কিভাবে চলব। তাদের নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মানুষকে মাইররা ফালাইছে।”
মেয়েকে ধর্ষণের মামলা করার এক সপ্তাহের মাথায় বাবার লাশ
তারেক রহমান পরিবারকে আর্থিক ও আইনগত সহায়তা দেওয়ার কথাও বলেন। এ সময় পরিবারটিকে খাদ্য ও বস্ত্র সামগ্রী দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান বলেন, তারেক রহমান তাকে পরিবারটির খোঁজ-খবর নিতে বলেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এ সময় সেখানে বাড়িতে বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীর, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, বিএনপি নেতা ফিরোজ উজ্ জামান মামুন, জেলা বিএনপি নেতা এ জেড এম সালেহ ফারুক, অ্যাডবোকেট নূরুল আমিন, হুমায়ুন হাসান শাহিন, অ্যাডভোকেট রেজবুল কবীর, অ্যাডভোকেট রনজু আরা শিপু, তালিমুল ইসলাম পলাশ।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী ওই পরিবারটি জানায়, স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ মার্চ মামলা করেছিলেন বাবা। মামলার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে ১১ মার্চ বাড়ির পেছন থেকে বাদীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির প্রথম মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে, দ্বিতীয় মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে এবং সর্বকনিষ্ঠ মেয়ের বয়স মাত্র এক মাস।