পড়াশোনার মানবৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যয় কমাতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার কথা বলেছেন বিধান রঞ্জন রায়।
Published : 11 Jan 2025, 07:43 PM
প্রাথমিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে শিশুদের পড়ালেখায় অভিভাবকদের অসন্তুষ্টির কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ময়মনসিংহে দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিধান রঞ্জন বলেন, “উচ্চ শিক্ষিত টিচার নিয়োগ দেওয়ার পরও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমছে, তার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে কোভিড, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়া, বছর শেষে যে পরীক্ষা হত সেটি চলছিল না, এতে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
“এতে অনেক বাচ্চা প্রাইমারি ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। এ থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমরা আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি আবার পরিবর্তন করেছি, তবে ঠিক আগের মত যাচ্ছি না।
“এ ক্ষেত্রে দু ধরনের বিষয় রাখা হচ্ছে, প্রথমত ক্লাসে মূল্যায়ন, তারপর চার মাস পর পর মূল্যায়ন হবে। এতে আশা করি অভিভাবকদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।”
বাচ্চারা যাতে পড়াশোনায় ভালো করতে পারে, সেই লক্ষে সব কিছুতে পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা।
পড়াশোনার মানবৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যয় কমাতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার কথা বলেছেন বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেছেন, “বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে এরই মধ্যে কাজ শুরুও হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তত্ত্বাবধান করতে পারব। তারাও সব কিছু নিয়মের মধ্যে করতে বাধ্য থাকবে।”
শিশুদের সামগ্রিক বিকাশে শুধুমাত্র বইয়ের উপর নির্ভর করলে অনেক সময় ফলাফল খারাপ হয় মন্তব্য করে বিধান রঞ্জন বলেন, শিশুর সামগ্রিক বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেওয়া দরকার। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
বছরের শুরুতেই প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণির সব বই শিশুদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “পরিমার্জন এবং বাইরের একটি টেন্ডার বাতিল করার কারণে কয়েকটি ক্লাসে বই দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
“ইতিমধ্যে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানো হচ্ছে, তা আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংও করছি। জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।”
এ সময় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ময়মনসিংহের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, উপপরিচালক সাদিয়া উম্মুল বানিন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।