ব্যাসদেবের কাছে থাকা ছয়টি সোনার বারের মধ্যে তিনটি ছিনিয়ে নেন তিন পুলিশ সদস্য।
Published : 13 Jan 2024, 06:19 PM
‘চোরাচালানকারীর’ কাছ থেকে সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুলনার লবণচরা থানার তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ‘পাচারকারীকে’ও।
শুক্রবার রাতে এসআই মোকলুকুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) লবণচরা থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- খুলনার খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যাসদেব দে, লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা জামান, এএসআই আহসান হাবীব ও কনস্টেবল মুরাদ।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, ব্যাসদেব দে একজন পেশাদার সোনা পাচারকারী। শুক্রবার দুপুরে তিনি ছয়টি সোনার বার ভারতে পাচারের জন্য টুঙ্গিপাড়া পরিবহনের একটি বাসে করে সাতক্ষীরায় যাচ্ছিলেন। বাসটি খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে থামিয়ে তল্লাশি চালান তিন পুলিশ সদস্য।
“একপর্যায়ে ব্যাসদেব দে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরেন। পরে তার কাছে থাকা ছয়টি সোনার বারের মধ্যে তিনটি ছিনিয়ে নেন তারা। বাকি তিনটি তাকে দিয়ে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ছেড়ে দেন। তিনটি সোনার বারের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
মামলায় আরও বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ব্যাসদেব। পরে সন্ধ্যায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয়।
লবণচরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, “পাচারকারীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯২ ধারায় মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”