কনটেন্ট ক্রিয়েটরের দেওয়া ভিডিওর মাধ্যমে সন্তানের সন্ধান পান বলে দাবি পরিবারের।
Published : 10 Mar 2025, 08:33 PM
দুই বছর আগে সিলেটের কানাইঘাট থেকে হারিয়ে যাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে বান্দরবানে খুঁজে পেল তার পরিবার।
সোমবার সকালে বান্দরবান শহরে রাজার মাঠ এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আশিকুর রহমানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উম্মে হুমায়রা নামে বান্দরবানের এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের দেওয়া ভিডিওর মাধ্যমে সন্তানের সন্ধান পান বলে দাবি তাদের।
দুই বছর আগে বাজারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ ছিলেন আশিকুর রহমান; যিনি ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন।
মা মরিয়ম বেগম বলেন, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা তারা। গত দুই বছর আগে বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তার ছেলে আশিকুর রহমান। দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি তাকে।
গত বছর বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন বলে ধারণা করেছিলেন তারা।
মরিয়ম বেগম বলেন, কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলের একটা ভিডিও দেখেন।
পরে ওই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোমবার বান্দরবান পৌঁছে ছেলেকে বুঝে নেন।
দুই বছর পর সন্তানকে ফিরে পেয়ে মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তার তিন ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে আশিকুর মেজো।
দুই বছর আগে হারিয়ে যাওয়ার পর কোথাও না পেয়ে ছেলেকে পাওয়ার আশা একরকম ছেড়েই দিয়েছিলেন তারা।
গত বছরের বন্যায় আশিকুর হয়ত মারাই গেছেন বলে মনে করেছিলেন।
কিন্তু শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একজনের ভিডিওর মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, ছেলে বান্দরবানে বেঁচে আছেন।
বান্দরবানের কনটেন্ট ক্রিয়েটর উম্মে হুমায়রার সঙ্গে যোগাযোগ করে রোববার বিকালে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে সিলেট থেকে রওনা দেন মরিয়ম বেগম।
তিনি বলেন, “সোমবার সকালে পৌঁছে উম্মে হুমায়রা সঙ্গে দেখা করে ছেলে আশিকুর রহমানকে বুঝে পেয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”
কনটেন্টে ক্রিয়েটর উম্মে হুমায়রা বলেন, ৩ মার্চ শহরের বালাঘাটা থেকে তিন নম্বর (থানচি বাস স্টেশন) এলাকায় ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে দেখতে পান, আশিকুর ড্রেন থেকে ময়লা খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছেন। কাছে গিয়ে ময়লা খাবারটি কেড়ে নিয়ে ভালো শুকনো খাবার তাকে দেওয়া হয়। পরে তার নাম-ঠিকানা জেনে নিয়ে তিনদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করার পর পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তারা সোমবার সকালে বান্দরবানে পৌঁছলে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতে তার মায়ের কাছে আশিকুরকে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় আশিকুর রহমানের পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি বান্দরবানের যুবসমাজের সদস্যরাও ছিলেন।