নয়া দিল্লি এর সঙ্গে হিন্দু সংখ্যালঘু নির্যাতনের যোগসূত্র দেখার কথা বলছে।
Published : 21 Apr 2025, 08:56 PM
দিনাজপুরের বিরলে কৃষক ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পাঁচ দিনের মাথায় হত্যা মামলা করেছে পরিবার।
ভবেশের ছেলে স্বপন চন্দ্র রায় সোমবার বিকালে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করে মামলাটি করেন বলে বিরল থানার ওসি আব্দুস ছবুর জানান।
আসামিরা হলেন- উপজেলার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আতিকুর ইসলাম (৪০), আব্দুস সাত্তারের ছেলে রতন ইসলাম (৩০), আব্দুল মাজেদের ছেলে মুন্না ইসলাম (২৭) এবং আব্দুস সাত্তারের ছেলে রুবেল (২৮)।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, আসামিরা সুদ ব্যবসায়ী। ভবেশ চন্দ্র এক বছর আগে তাদের কাছে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নেন। কিন্তু পুরো টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তারা বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
মানসিক চাপে ভবেশ চন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন আসামিরা তাকে ফুলবাড়ি বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে রাখে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরে ভবেশ চন্দ্রকে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে মামলায় বলেন স্বপন চন্দ্র।
বিরল থানার ওসি আব্দুস ছবুর বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটির তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।
ভবেশ চন্দ্র রায় (৫২) বিরল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার এই মৃত্যুকে ‘পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ড’ বলে দাবি করেছে ভারত। নয়া দিল্লি এর সঙ্গে হিন্দু সংখ্যালঘু নির্যাতনের যোগসূত্র দেখার কথা বলছে।
শনিবার এক্স পোস্টে এ মৃত্যুর কথা তুলে ধরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে কোনো বৈষম্য বা অজুহাত ছাড়া হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর সুরক্ষার দায়িত্ব পালনের বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।”