“আমার চাওয়া হইল, জনগণ কেন্দ্রে যাইব, ভোট দিব, যে ইচ্ছা পাস করব। কিন্তু পোলিং এজেন্ট ঢুকাইতে পারতেছি না, আর জনগণ ভোট দিতে যাইব কেমনে?”
Published : 09 Mar 2024, 10:59 AM
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনে বাস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভোটার ও এজেন্টদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করলেও ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াইয়ে থাকার কথা বলেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
দুইবারের সাবেক এই মেয়র বলেছেন, “নির্বাচনে আমি লাস্ট পর্যন্ত আছি। নির্বাচনের লাইগাতো থাকা না থাকার ব্যাপার না, সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে কিনা সেটা দেখার ব্যাপার। আমার চাওয়া হইল, জনগণ কেন্দ্রে যাইব, ভোট দিব, যে ইচ্ছা পাস করব। কিন্তু পোলিং এজেন্ট ঢুকাইতে পারতেছি না, আর জনগণ ভোট দিতে যাইব কেমনে?”
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু ২০২২ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আরফানুল হকের কাছে শ তিনেক ভোটে হেরেছিলেন দুইবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আরফানুল হকের মৃত্যুতে এখন সেখানে মেয়র পদে উপ নির্বাচন হচ্ছে।
শনিবার সকালে সোয়া ৯টার দিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নবাব হোচ্ছাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন সাক্কু। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
ভোটারদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “ভোটারতো যাইতেই পারতেছে না, জায়গায় জায়গায় ব্লক দিতাছে, আমারে না জিংগাইয়া, আপনারাতো সাংবাদিক, আপনারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে কেন্দ্রের সামনে যান, নিজেও একটু নিজেও একটু পর্যবেক্ষণ করেন, দেখেন।”
এই সিটির ১০৫টি ভোটকেন্দ্র সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কুমিল্লা সিটিতে ভোটার আছেন ভোটার দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন, ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে।
সাক্কু বলেন, “১০৫টা কেন্দ্র, ২-৪টা থেকে ভালো খবর পাইতেছি। ৫ নম্বর, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা বেগতিক, মেইন রোডে কিন্তু অবস্থা বেগতিক, দুইবার এজেন্ট গেছে, আর যাইতে চায় না ডরে। দুইবার বের করে দেওয়া হইছে, আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাইছি, লোক যাবে বলল। কিন্তু কয়বার যাইব?”
পোলিং এজেন্টদের কারা ঢুকতে দিচ্ছে না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাস মার্কার লোকেরা। ঢুকছিল, বাইর কইরা দিছে। আমার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী উনি গেছে, যাওনের পরে লাথিও মারছে।”
এ নির্বাচনে বাস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা, তিনি কুমিল্লা সদরের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে।
সাক্কু ও সূচনা ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), এবং কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি)।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নে সাক্কু বলেন, “প্রথম দেখতেছি এক রকম, পরিস্থিতি খারাপও হতে পারে। কিছু কেন্দ্রে সুন্দর পরিবেশ আছে, পোলিং এজেন্ট ঢুকছে, মানুষও আসতেছে ভোট দিতে। ১০-১২টা কেন্দ্রে আমার জানামতে পোলিং এজেন্টই ঢুকাতে পারতেছি না। আমিই পারতেছি না, অন্য দুই প্রার্থী কি পারব বুঝতেছি না।”
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কি না– এমন প্রশ্নে দুই বারের সাবেক মেয়র বলেন, “এই রকম পরিস্থিতি, জয়েরটাতো পরের কথা, ভোট দিতে হবে মানুষকে, মানুষ যদি ভোট দিতে না পারে তাহলে লাভ কি? আপনে ভোট কাউন্ট করবেন কি? একটা মার্জিন হবে, ২ লাখ ৪২ হাজার ভোট, ভোটের মার্জিনতো আসতে হবে। মিনিমাম ৩০-৪০%, না হলেতো সুন্দর হবে না। যদি ৫-১০% কাস্টিং হয়, এটাতো ভোটের মধ্যে পড়ে না।”