চিকিৎসক জানান, পানি শূন্যতা এবং গরমে শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে।
Published : 18 Apr 2024, 05:47 PM
টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যে যশোরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে; এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, যশোরে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। বৃহস্পতিবার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবারও ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সামাদ বলেন, গরমের কারণে হাসপাতালে শিশু রোগী সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৬। এই ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ২০টি।
পানি শূন্যতা এবং গরমে শিশুরা বেশি বেশি অসুস্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় শিশুদের নিয়ে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হোসনে আরা বলেন, ভর্তি রোগীদের মধ্যে ডায়রিয়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে চিকিৎসা সামগ্রীর কোনো সংকট নেই বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ২৮ জন বলে জানান তিনি।
এদিকে শয্যা সংকটে রোগীদের নিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বলে দাবি স্বজনদের।
মাগুরার শালিখা উপজেলার মধুখালি গ্রামের নাইস আক্তার তার নয় মাস বয়সি ছেলেকে নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে ছেলের ডায়রিয়া হয়েছিল; পরে আবার নিউমোনিয়া হয়। এখন তার নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছে।
যশোর শহরের বেজপাড়ার মেহজাবিন রেহেনুমা জানান, তার ভাইয়ের ১১ মাসের ছেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
যশোর সদরের ফতেপুরের ফাতেমা খাতুন বলেন, “এক বছর বয়সি ছেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাকে নিয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে ভর্তি আছি। ছেলে এখানে থাকতে চাইছে না। মানুষের হাঁটাচলা ও ভিড়ে অতিষ্ঠ হয়ে আছি।”
চিকিৎসকরা বলছেন, তাপপ্রবাহ থেকে সুস্থ থাকতে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. গোলাম মোর্তুজা বলেন, এই তীব্র গরমে কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
এ ছাড়া গরমে চর্ম রোগের আধিক্য দেখা দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে ছাতা, হেড ক্যাপ এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে বলে জানান তিনি।