বাগানে লাশ পড়ে থাকার খবরে গেলেও উদ্ধারের সময় জিহ্বা কাটা অবস্থায় বৃদ্ধকে জীবিত পেয়েছিলেন বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
Published : 15 Apr 2025, 05:47 PM
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক বৃদ্ধের জিহ্বা কেটে ফেলার দুইদিন পর তিনি মারা গেছেন। পরিবারের অভিযোগ ‘পাওনা টাকা চাওয়ার’ জেরে বৃদ্ধের জ্হ্বিা কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় বাগানে ফেলে রাখা হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকালের দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ।
নিহত মো. আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে। তিনি পাড়াগ্রাম বাজারের নৈশপ্রহরী ছিলেন।
রোববার সকালে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
নিহতের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, আব্দুল হালিম মোল্লা উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামের কয়েকজনের কাছে টাকা পেতেন। পাওনা টাকা-পয়সা নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলাও হয়েছিল।
শনিবার বিকালে সেই টাকা চাওয়ার উদ্দেশ্যে হেলেঞ্চা গ্রামের ওই কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করতে বের হন ব্দ্ধৃ আব্দুল হালিম। তবে রাত সাড়ে ৩টার দিকে কে বা কারা তার জিহ্বা কেটে পাড়াগ্রামের মাহবুব হোসেনের বাগানে ফেলে যায়।
পরদিন সকালে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার পর তার অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালের দিকে তিনি মারা যান।
গোপালপুর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, রোববার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পাই পাড়াগ্রামের একটি বাগানে বৃদ্ধের লাশ পড়ে আছে।
“পরে বিষয়টি থানায় জানিয়ে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করার সময় দেখা যায়, জিহ্বা কাটা হলেও বৃদ্ধ তখনো জীবিত আছেন।”
দ্রুত তাকে আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর পাঠায়।
এই জনপ্রিতিনিধি আরও বলেন, “আজকে শুনেছি তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এটি একটি নির্মম ঘটনা। যতটুকু জানতে পেরেছি ধারের টাকা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।”
ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অর্থ লেনদেনের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।