আদালত মামলাটি মধ্যনগর থানাকে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
Published : 27 Jun 2024, 12:53 AM
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
ঘটনার ১৯ দিন পর বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিসবাহ উদ্দিন আহমদের আদালতে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আজমল হোসাইন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে করা এ মামলার বাদী হামলায় গুরুতর আহত প্রার্থী সাইদুর রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান ঝিনুক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আজিম মাহমুদ, সোহেল ভূইয়া, আফসার উদ্দিন, মোবারক ভূইয়া (স্মরণ), বাসেত ভূইয়া, শরীফ ভূইয়া, হুমায়ুন, শরীফ মিয়া, আমিনুর, শমশের আলী, আনোয়ার, আব্দুস সালাম, কাউসার, আব্দুর রহমান, বাবুল, কবীর, রুবেল, আজিজুল, আলমগীর কবীর এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন।
আইনজীবী আজমল হোসাইন বলেন, আদালত মধ্যনগর থানাকে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলায় আরিফুর রহমান ঝিনুক অভিযোগ করেন, ভোটের আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া ও তার স্বজনরা নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া ও তার স্বজনরা ক্ষুব্ধ হন।
পরে গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হন আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া।
এর দুইদিন পর ৭ জুন বিকালে সাইদুর রহমানের বাড়ির সামনের পুকুরঘাটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাইদুর রহমান ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায় বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাতিজা আজিম মাহমুদসহ অন্যান্য আসামিরা।
হামলাকারীরা সাইদুর রহমানের মাথায় দুটি ও হাতে একটি, বাদী আরিফুর রহমানের মাথায়ও দুটি ও হাতে একটি কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ দুজন ছাড়াও হামলায় সময় আরও পাঁচ জন আহত হন।
আহতদের কয়েকজন নেত্রকোনার কলমাকান্দা, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও পরবর্তীতে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
মামলার বাদী আরিফুর রহমান ঝিনুক বলেন, মামলার প্রধান আসামি ছোটভাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এ কারণে স্থানীয় থানায় মামলা না করে ন্যায়বিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এবং কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি তৈয়বুর রহমান বাবুল বলেন, “বিজ্ঞ আদালত মামলার গুরুত্ব বুঝে আমলে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট।”
আরও পড়ুন
সুনামগঞ্জে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা, বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি