বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেলা ১২টার মধ্যে শেষ করা হবে; তবে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মেলা চলবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
Published : 12 Apr 2023, 05:30 PM
নেত্রকোণায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রত্যেক উপজেলাতেই মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ দুই শতাধিক হাটবাজারে বসবে গ্রামীণ মেলা।
এর মধ্যেই বৈশাখ উদযাপনে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান সাংস্কৃতিক কর্মীরা। অন্যদিকে বাংলা নববর্ষকে ঘিরে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনায় ভাসছেন সর্বস্তরের মানুষ।
জেলা উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “নতুন বছরকে বরণ করতে প্রতিবছরই নেত্রকোণায় থাকে নানা আনন্দ আয়োজন। করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর এই আয়োজনে ছেদ পড়েছিল। কিন্তু এবার এই আয়োজনে যোগ হবে ভিন্ন মাত্রা। জেলা প্রশাসন, জেলা উদীচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
“এসব কর্মসূচির মধ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রয়েছে, মঙ্গল শোভাযাত্রা, জেলা কালেক্টরেট মাঠে গ্রামীণ মেলা। এ ছাড়া জেলা উদীচী নেত্রকোণা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের মঞ্চে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে নতুন বছরকে আবাহন, রাখিবন্ধন, আলোচনা সভা, মঙ্গল শোভাযাত্রা রয়েছে।”
এ সব আয়োজনকে সামনে রেখে প্যান্ডেল তৈরি, গানের মহড়াসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে বলে জানান তিনি।
জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অসিত সরকার বলেন, “পহেলা বৈশাখের দিন সকালে গান, নাচ, আবৃত্তি, শিশুদের চিত্রাংকণে নতুন বছরকে আবাহন করব। সকল ধর্মের মানুষের উৎসব এই পহেলা বৈশাখ। জেলার সবাই মিলে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে দিবসটি উদযাপন করব।”
শহরের মালনী রোড এলাকার বাসিন্দা রীতা সাহা। পেশায় তিনি একজন কলেজ শিক্ষক। তিনি বলেন, “নতুন বছরে নতুনের ছোঁয়া লাগুক এটা চাই। পোশাকেও যেমন চাই। তেমনি সাংস্কৃতিক বলয়েও চাই। বিভিন্ন সংগঠন নতুন বছরকে বরণে বিভিন্ন আয়োজন করছে। আমরাও তাদের সঙ্গে আছি।”
জেলা উদীচীর নৃত্য প্রশিক্ষক তমা রায় বলেন, “করোনাভাইরাসের মহামারিতে দুই বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারিনি। এই বছর আমরা অন্যভাবে উদযাপন করব। ৩০ জন নৃত্যশিল্পী এবং ৪০ জন সংগীতশিল্পী নিয়ে মঞ্চে পরিবেশনা হবে উদীচীর। এর মহড়া চলছে এক মাস ধরে।”
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, “সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দিয়েছে সেই আলোকেই কর্মসূচি নিয়েছি। সকাল ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু করব। তার আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। ‘এসো হে বৈশাখ’ গান দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে।
“পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে একটি ছোট আলোচনা সভা করে পরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করা হবে। রোজা আর জুম্মার কথা মাথায় রেখে বেলা ১২টার মধ্যে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষ করে ফেলব। তবে মেলাটি চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত।”