ঈদের পর ২৪ জুন পর্যন্ত ট্রেনটি চালু থাকবে বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।
Published : 12 Jun 2024, 07:23 PM
টানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ‘বিশেষ ট্রেন’ চলাচল শুরু হয়েছে; যেটি ২৪ জুন পর্যন্ত চালু থাকবে।
বুধবার সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টা ২০মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানি।
বিশেষ ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হবে; যা রাত ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
এর আগে এপ্রিলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে বিশেষ ট্রেনটি চালু করেছিল রেল বিভাগ। পরে ২৯ জুন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইঞ্জিন ও লোকো মাস্টার সংকটের কারণ দেখিয়ে ট্রেনটি বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
তবে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, বাস মালিকদের চাপে রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
যাত্রীসহ সচেতন মহলের দাবি, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাতায়াতে সড়কই ছিল একমাত্র পথ। এ পথে বিমান ও নৌ যোগাযোগ নেই। সময় ও অর্থ সাশ্রয়, নিরাপদ এবং আরামদায়ক হিসেবে ট্রেনের স্পেশাল সার্ভিসটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে সড়কপথে দূরত্ব ১৪৫ কিলোমিটার। যেখানে বাসে সময় লাগে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। নন এসি বাসে ৪২০ টাকা, এসি বাসে এক হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। এর বিপরীতে ট্রেনে নন এসি শোভন চেয়ারের ভাড়া ২৫০ টাকা, এসি স্নিগ্ধা চেয়ারের ভাড়া ৪৭০ টাকা। ট্রেনে যেতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা ২০ মিনিট।
এদিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করা দুটি ট্রেনে চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২৩০টি সিট। এ পথে প্রতিদিন চট্টগ্রামের ২৩০ যাত্রী যাতায়াতের সুযোগ পান। আর স্পেশাল ট্রেনে সিট রয়েছে ৭০৫টি।
রেলওয়ে বিভাগ থেকে জানা গেছে, বিশেষ ট্রেনটি ছিল লাভজনক। ৮ এপ্রিল চালু হওয়া এই ট্রেন থেকে ৫ মে পর্যন্ত ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকার রাজস্ব আয় হয়; যা প্রতিদিন গড়ে দুই লাখ টাকার বেশি।
যেখানে চট্টগ্রাম-ঢাকা পথে ‘মহানগর এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেনটি এপ্রিলের ৩০ দিনে আয় করেছে ৫০ লাখ টাকা। যথাযথ কোনো কারণ ছাড়াই লাভজনক এ ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করে বিবৃতি দেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
নানা সমালোচনার পর অবশেষে বন্ধের ১২ দিন পর আবারও স্পেশাল ট্রেনটি চালু হয়েছে। এটি বন্ধ না করে নিয়মিত চালু রাখার দাবি যাত্রীদের।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার গোলাম রব্বানি বলেন, “ভবিষ্যতে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এ ছাড়া ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে পারে। যাত্রী সেবার মান কীভাবে আরও বাড়ানো যায় এ ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিক।”
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার'বিশেষ ট্রেন'ঈদের আগেই চালুর আশ্বাস