দেলোয়ারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে স্থানীয় মাতব্বরা।
Published : 10 Apr 2025, 05:18 PM
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার প্রতিবেশী এক দাদার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের হরুপদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি জানাজানির পর বুধবার বিকালে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন গ্রামবাসী।
এ ঘটনায় বুধবার গভীর রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন বলে থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন জানান।
অভিযোগের মুখে থাকা দেলোয়ার (৫৫) হরুপদিয়া গ্রামের ধলা মোল্লার ছেলে।
ভুক্তভোগী মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, “আমার মেয়েকে সোমবার দুপুরে পাশের বাড়ির সম্পর্কের দাদিকে রান্না করা শিন্নি দিতে পাঠাই। এ সময় দাদি ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে তার স্বামী দেলোয়ার মোল্লা মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে কাউকে কিছু না বলতে এবং মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে মেয়ে বাড়ি এসে পুরো ঘটনা তার মায়ের কাছে বলে দেয়।”
মেয়েটির মা বলেন, “এ ঘটনা বলার মত ভাষা আমাদের নাই। আমরা গরীব মানুষ, আমরা দেলোয়ারের শাস্তি চাই এবং ফাঁসি চাই।”
পুলিশ বলছে, ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার রাতে দেলোয়ারের বাড়িতে একটি সালিশ বৈঠক হয়। সেখান স্থানীয় মাতব্বর সৈয়দ মোল্লা, সবু মোল্লা, আবু মোল্লা, আয়নাল মোল্লা, আক্তার মোল্লা ও আয়নাল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মাতব্বরা দেলোয়ারকে দুই লাখ টাকার জরিমানা করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর দেলোয়ার মোল্লা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। তার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
গ্রামবাসী বলেন, হরুপদিয়া গ্রামের কিছু মাতব্বররা এ ঘটনা গোপনে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। মেয়ের বাবা টাকা না নেওয়ায় তাকে মারধর করেছে দেলোয়ারের লোকজন। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দেলোয়ারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে স্থানীয় মাতব্বরা। পাশপাশি গ্রামবাসী দেলোয়ারের বিচারসহ শাস্তি দাবি করেছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন, “বুধবার বেলা তিনটার দিকে ধর্ষণের ঘটনার একটি সংবাদ পেয়ে হরুপদিয়া গ্রামে মেয়েটির বাড়িতে পৌঁছাই। ভিকটিম শিশু ও তার মা-বাবার জবানবন্দি রেকর্ড করি। এরপর তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে আসি।”
এ ঘটনার জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।