সোনারগাঁ থানার ওসি বলেন, বিএনপি মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার ‘পাঁয়তারা’ করছিল৷
Published : 19 Aug 2023, 07:53 PM
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা এসেছে নারায়ণগঞ্জে। পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দুই পক্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
শনিবার বিকালে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর সেতুর ঢালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে৷
নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা ও রাবার বুলেট ছুড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ইট-পাটকেল ছুড়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরাও৷
এতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি সেলিম মাহমুদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী আল-আমিন মোল্লা, আড়াইহাজারের মাহমুদপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আহমেদ, আড়াইহাজার উপজেলার যুবদল কর্মী মো. জহির, রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আসিফ, কাঞ্চনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. জাহিদুলসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি৷
বিএনপির ছোড়া ইট-পাটকেলে পুলিশের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলে বলে জানান জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকালে কাঁচপুর সেতুর পূর্বপাশের ঢালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জড়ো হতে শুরু করে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা৷
পুলিশ তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তর্ক বাঁধে৷ পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান৷ পরে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি করলে বিএনপির কর্মীরা ইট-পাটকেল মারতে থাকেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন৷ এ সময় সোনারগাঁ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে৷
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, কাঁচপুর সেতুর ঢাল থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের৷ নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দিলে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়৷
সোনারগাঁ থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, “পদযাত্রা করার জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল না৷ বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছিল৷ এ সময় পুলিশ মৃদু শক্তি প্রদর্শন করে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়৷
“বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুড়েছে, রাস্তার পাশে রাখা চেয়ারগুলো ভাঙচুর করেছে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েকটি রাবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়৷’
বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মহাসড়কে মিছিল করেন৷