“অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ননস্টপ সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশনে প্রায় ৪০ মিনিট আটকা পড়ে।”
Published : 28 Feb 2025, 02:34 PM
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন ট্রেন চালু এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এক ঘণ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সম্মিলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ননস্টপ ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা সোয়া ১১টায় অবরোধ তুলে নেন নেন আন্দোলনকারীরা।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোবারক হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বি এম মোমিনুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত এবং তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, রাজস্ব আয়ের দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এখান থেকে ৬-৭ হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু এত পরিমাণ যাত্রীর তুলনায় টিকিট সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। যার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
তাই দ্রুত ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন একটি ট্রেন চালু এবং আন্তঃনগর উপবন, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।
এছাড়া ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনের পুরাতন বগিগুলো সরিয়ে নতুন বগি সংযোজনেরও দাবি জানান তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, “অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ননস্টপ সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশনে প্রায় ৪০ মিনিট আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।”
এ প্রসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, তাদের দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।