“বিয়ের পর থেকে মুন্নির ওপর অত্যাচর শুরু করে। দুইমাস আগে তাকে মেরে ডান হাতের দুটি আঙ্গুল ভেঙে দেয়।”
Published : 01 Feb 2024, 07:34 PM
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় বিউটি পার্লার কর্মী মনিরা পারভীন মুন্নিকে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুকসুদপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিতল চন্দ্র পাল বলেন, “পারিবারিক কলহের জের ধরে মুন্নিকে তার স্বামী মাহাবুবুল আলম সাগর হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে।”
মুকসুদপুর উপজেলা সদরের ‘ওমেন্স ওয়ার্ল্ড’ বিউটি পার্লারের কর্মী ছিলেন ৪০ বছর বয়সী মুন্নি। টেংরাখোলা বাজারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পকেট গেটের সামনে বুধবার দুপুরে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্নি উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের লোহাইড় গ্রামের লোকমান ধরানীর মেয়ে। তার স্বামী সাগরের (৪৫) বাড়ি খুলনা জেলায়; তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করেন।
ওসি বলেন, সাগরকে আটকে অভিযান শুরু হয়েছে; যদিও এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা দায়ের হয়নি।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর জানাজা শেষে মুকসুদপুরের লোহাইড় গ্রামের কবরস্থানে মুন্নির লাশ দাফন করা হয় বলে তার ভাই মো. বজলুল করিম ধারানী জানান।
বজলুল বলেন, তার ছোট বোনের সঙ্গে ২০ বছর আগে ভোলার সেলিম হাওলাদারের বিয়ে হয়। প্রথম সংসারে তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বছরখানেক আগে সেলিমের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দশ মাস আগে সাগরের সঙ্গে মুন্নির বিয়ে হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী ‘মাদকাসক্ত’ সাগর বিয়ের পর থেকে মুন্নির ওপর অত্যাচর শুরু করে। দুইমাস আগে তাকে মেরে ডান হাতের দুটি আঙ্গুল ভেঙে দেয়। তারপর মুন্নি বাড়িতে চলে আসে এবং একমাস আগে কাজ শিখতে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে ভর্তি হয়।
তিনি বলেন, “স্বামীর সঙ্গে বিবাদ মিটাতে বুধবার বিকালে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সাগর আমার বোনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত করে তার মরদেহ পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।”
এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বজলুল।
আরও পড়ুন: