সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
Published : 04 Feb 2024, 04:00 PM
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মার চরে যুবকের আট টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন তার মা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই শেখ মো. সোহেল রান জানান, নিহত মিলন হোসেনের মা শেফালী খাতুন সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে এ মামলা করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে তিনজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সজীব আহমেদ (২৫), জনি আহমেদ (২২) ও সজল আহমেদ (২৪)।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সদরের হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর চরের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৭ বছর বয়সী মিলনের খণ্ড খণ্ড দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি বলেন, শেফালী মামলার এজাহারে ছেলেকে অপরহণ করে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ এনেছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয়জনকে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিয়িশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে মিলন স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিংয়ের ই-ব্লকের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি অনলাইনে ব্যবসা করতেন।
বুধবার থেকে মিলন নিখোঁজ ছিলেন। তার স্ত্রী মিমি খাতুনের করা সাধারণ ডায়েরি অনুযায়ী সজল ও সজীবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পলিথিনে মোড়ানো খণ্ড খণ্ড লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
কুষ্টিয়ায় পদ্মার চর থেকে যুবকের ৮ টুকরা লাশ উদ্ধার
নিহতের স্ত্রী মিমি খাতুনের ভাষ্য, মিলনের ব্যবসার পার্টনার সজল বুধবার সকালে তার স্বামীকে মোবাইলে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সজল ‘ভয়ংকর লোক’ এবং সেই মিলনকে হত্যা করেছে বলেও দাবি মিমির।
পুলিশ জানিয়েছে, সজীব, জনি ও সজল হত্যা, ব্ল্যাকমেইল, মোবাইল নাম্বার ক্লোন বা হ্যাক করে বিকাশের টাকা প্রতারণা, অস্ত্র, মাদকসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
কিশোর গ্যাং লিডার খ্যাত সজীবের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় প্রায় এক ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। পাশাপাশি অনেকগুলি মামলা আদালতে বিচারাধীন।