পাবনায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি, চারজন গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানান ওসি।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2023, 03:27 PM
Updated : 10 May 2023, 03:27 PM

পাবনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

বুধবার পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, মঙ্গলাবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরবাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মনছের আলীর ছেলে জহুরুল হক (৩০), তার ভাই হাবিব মণ্ডল (৩২), ওই গ্রামের হবিবর রহমান (৬০) ও সানাউল্লাহ (৫৫)।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে চরবাঙ্গাবাড়ি এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এ সময় ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।

গোলাগুলিতে ওই গ্রামের হাবু সরদার (৫০), মামুন হোসেন (৩০), সেলিম মণ্ডল (৪০), হামিম হোসেন (১২), সবিরুল শেখ (৪০) ও ইসহাক প্রামাণিক (৪৫) আহত হন; তারা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে ওসি জানান।

এ বিষয়ে হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুস সালাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র্র করে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরবাঙ্গাবাড়ি ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজু মণ্ডল ও সাধারণ সম্পাদক আনিস সরদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

“এরই জের ধরে সোমবার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এক বর্ধিত সভার আয়োজন করেন। সেই সভায় সভাপতি ও সম্পাদকের বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাতে উত্তেজনা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে সে রাতের ঘটনায় কোনো হতাহতে খবর পাওয়া যায়নি।”

সালাম আরও বলেন, “কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে আবার দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হলে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।

“পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।” 

পাবনা থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, “এজাহারভুক্ত চার আসামিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”

সহিংসতা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোড়দার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।