গাইবান্ধায় পাঁচ আসনের ৩টি নৌকার, হেরেছেন শামীম হায়দার

বাকি দুই আসনের একটিতে জাতীয় পার্টি এবং আরেকটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী  (বামে) এবং গাইবান্ধা-১ আসনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনের তিনটিতে নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অপর দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

তবে আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়ার পর জয় বঞ্চিত রয়ে গেলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

রোববার রাতে গাইবান্ধা জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুল বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (ঢেঁকি) ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। নিকটতম লাঙ্গলের প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।

সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-২ আসনে ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবীর (ট্রাক)। নিকটতম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে আব্দুর রশিদ সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।

সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার (ঈগল) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৪ আসনে এক লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৬ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (ট্রাক) পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।

সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন এক লাখ ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক) ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়েছেন।