“পিকনিকে গিয়ে ছেলের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
Published : 24 Nov 2024, 04:17 PM
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত শিক্ষার্থী জুবায়ের রহমান সাকিবকে তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার মুরারীপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে সাকিবকে দাফন করা হয় বলে তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।
এর আগে ২২ বছর বয়সী এ তরুণের মরদেহ ফ্রিজার ভ্যানে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে নেওয়া হয়।
এ সময় সহপাঠী, বন্ধু ও স্বজনসহ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ সাকিবকে শেষবারের মত এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। তাদের কান্নায় হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও স্কুল শিক্ষিকা ফজিলাতুন নেসা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান সাকিবের এলাকায় সুনাম ছিল নম্র-ভদ্র ও মেধাবী হিসেবে। ছোটবেলা থেকেই প্রকৌশলী হওয়ার যে স্বপ্ন ছিল তা পূরণ করার জন্য গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-আইইউটিতে ভর্তি হয়েছিলেন।
সাকিবের বাবা বলেন, “পিকনিকে গিয়ে ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনায় যার যার অবহেলা ও গাফিলতি আছে তা, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। এভাবে যেন আর কোনো বাবা-মায়ের বুক খালি না হয়।”
এর আগে শনিবার সকালে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬০ শিক্ষার্থী স্থানীয় ‘মাটির মায়া’ রিসোর্টে বনভোজনে যাচ্ছিলেন।
পথে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামের স্থানীয় চায়না কারখানার সামনে তাদের বহনকারী বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন ছাত্রের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও কয়েকজন।
মৃত বাকি দুজন হলেন- মীর মোজাম্মেল নাঈম (২৩) ও মুবতাছিন রহমান মাহীন (২২)।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে পল্লী বিদ্যুত সমিতির সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।