“ব্যক্তিগত ভাবে আমি সবসময় সাব্বিরের পাশে আছি।”
Published : 20 Feb 2024, 07:52 PM
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সেই মেধাবী সাব্বিরকে মেডিকেলে ভর্তির ফি দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার বিকেলে সাব্বিরের হাতে ভর্তির টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, “মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে অর্থের অভাবে দুশ্চিন্তায় থাকা রমজান খান সাব্বিরকে ভর্তি বাবদ ২১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
“ভর্তির পর যাতে তার কোনো সমস্যা না হয়, সেই জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করা হয়েছে। তিনিও সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।”
ইউএনও বলেন, “পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষক আমার বন্ধু। তারাও সাব্বিরের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি সবসময় সাব্বিরের পাশে আছি।”
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দমোদর কাঠি গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ খানের ছেলে রমজান খান সাব্বির।
তার বাবা একজন কৃষি শ্রমিক। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ ভাবে গামছা বিক্রি করে চার সদস্যের সংসারের ব্যয় নির্বাহ করেন।
তার মেধাবী ছেলে সাব্বির এবার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ৬৭ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে মেধাক্রমে ৪৭৪১ হয়ে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।
যেখানে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে ছেলেকে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবারটি।
শিক্ষার্থী সাব্বির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেডিকেলে ভর্তির জন্য প্রাইভেট পড়ার মতো কোনো সুযোগ ছিল না। পরীক্ষার কোনো বইও কিনতে পারেননি।
বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারির ট্যাব দিয়ে অনলাইন ও ইউটিউব থেকে দেখে পড়াশুনা করেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। পরীক্ষায় ৬৭.৭৫ নম্বর পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি।”
আরও পড়ুন:
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে দুশ্চিন্তায় সাব্বির ও তার বাবা-মা