দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ‘যৌতুকের টাকা না পেয়ে’ এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে মাথা মোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে উপজেলার কাজিপাড়া ইউনিয়নের বিলাইমারী গ্রামে এ ঘট্না ঘটে বলে বিরল থানার এসআই রফিকুজ্জামান জানান।
মামলার বরাতে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নির্যাতিতার স্বামী মজিবর রহমান, শ্বশুর হাসিম উদ্দিন এবং শাশুড়ি মানোয়ারাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গৃহবধূর অভিযোগ, ওই এলাকার মজিবরের সঙ্গে আট বছর আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে মজিবর যৌতুকের টাকা চেয়ে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে তিনি গাইবান্ধায় বাবার বাড়ি চলে যান। সেখানে এক বছর থাকার পর আর নির্যাতন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৬ দিন আগে তাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসা হয়।
এরপর এক লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর আবার নির্যাতন শুরু করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
“শনিবার দিবাগত মজিবার আমার চরিত্র নিয়ে কথা তুললে আমি এর প্রতিবাদ করি,” বলে এই গৃহবধূ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মজিবর ও তার বাবা-মা ওই গৃহবধূর হাত-পা-মুখে বেঁধে রেজর দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেন।
তিনি জানান, ভোর ৪টার পর তিনি স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করেন।
বিরল থানার এসআই রফিকুজ্জামান জানান, দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করলে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।