মামলায় অজ্ঞাত আর ১০ থেকে ১২ পাহাড়ি ও বাঙালিকে আসামি করা হয়েছে।
Published : 22 Sep 2024, 05:06 PM
খাগড়াছড়িতে আলোচিত মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানান খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা। তিনি বলেন, মামলায় অজ্ঞাত আর ১০ থেকে ১২ পাহাড়ি ও বাঙালিকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- সদ্য সাবেক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ির সাবেক পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম এবং মো. শাকিল।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হলেও সংবাদকর্মীরা রোববার বিষয়টি জানতে পারেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে মামুনকে অন্য আসামিদের নির্দেশে মো. শাকিল জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে সকালে জানতে পারেন তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে নোয়াপাড়া এলাকা থেকে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে ‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর জেরে দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে আগুন দেয় হামলাকারীরা। সেখানে পাহাড়ি ও বাঙালিদের শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। সেদিন রাতে গুলিতে খাগড়াছড়িতে তিনজন নিহত হন।
দীঘিনালার ঘটনার জের ধরে রাঙামাটিতেও সহিংসতার ছড়ায়। সেখানে বিহার-মসজিদ ভাঙচুরের পাশাপাশি একজন নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাহাড়ের এই দুই জেলা শহরে শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।