র্যাগিংয়ের অভিযোগ তদন্তের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় বুধবার সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান জানিয়েছেন।
তদন্তে র্যাগিংয়ের অভিযোগের প্রমাণ মেলায় সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে যৌন হয়রানির অভিযোগে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের তাসফিকুল হককে এক বছরের জন্য এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের জীবন চন্দ্র সেনকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ ছাড়াও পরীক্ষায় অসুদায় অবলম্বন করায় বিভিন্ন বিভাগের ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
র্যাগিংয়ের অভিযোগে বহিষ্কৃত সবাই ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
এরা হলেন পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমদ, খালেদ সাইফুল্লাহ, রামিম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরীফুল ইসলাম, অনীক দাস, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমান জানান, এ ১৬ শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ হল থেকে আজীবন বহিষ্কারের পাশাপাশি সকল হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেকোনো শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত হলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে মর্মে তাদের নোটিশ দেওয়া হবে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ওই বিভাগের প্রধানের কাছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ দেন একই বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী।
তার অভিযোগ, জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগীসহ তার বন্ধুদের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন।
সিনিয়রদের এসব কথা না শুনলে তারা হুমকি দেন এবং মারতে এগিয়ে আাসেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
এ ঘটনার পাঁচ শিক্ষার্থীকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে র্যাগিংয়ের ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে সেই সময় সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। পরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন