এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তাদের শান্ত রাখতে সেখানে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
Published : 25 Aug 2024, 02:38 PM
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় মাছের ঘেরের মালিকানা ও ঘেরের মধ্য দিয়ে রাস্তা নেওয়া নিয়ে বিরোধে দুই জনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।
শনিবার গভীর রাতে উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ঢালে এ ঘটনা ঘটে বলে উজিরপুর মডেল থানার ওসি জাফর আহম্মেদ জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- পশ্চিম সাতলা গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৪৫) এবং তার চাচাতো ভাই একই বাড়ির বাসিন্দা শাহাদাত হাওলাদারের ছেলে সাগর হাওলাদার (২৭)।
ওসি জাফর আহম্মেদ বলেন, পশ্চিম সাতলা গ্রামে মাছের ঘেরের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ ও মালিকানা নিয়ে সাতলা ইউপির চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের সঙ্গে নিহত ইদ্রিস হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে একাধিক হামলা-মামলাও রয়েছে।
“এর জের ধরে শনিবার রাত দেড়টার দিকে সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ঢাল এলাকায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ইদ্রিস হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম ও পায়ের রগ কেটে দেয় একদল দুর্বৃত্ত।
“এ সময় মোটরসাইকেলটির চালক ইদ্রিসের চাচাতো ভাই সাগর বাধা দিলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।”
তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কিছু সময় পর দু’জনের মৃত্যু হয়।
কোনো রাজনৈতিক কারণে এ ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে নিহত ইদ্রিস হাওলাদারের ভাই জাকির হাওলাদার বলেন, “আমার ভাইয়ের মাছের ঘেরে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগিরা জেলও খেটেছে।
“জেল থেকে বেরিয়ে তারা দুই ভাইকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।”
নিহতদের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফছের হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, “সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে সজল, কিবরিয়া, ইলিয়াস, আসাদ, রাসেল ও সজিবসহ দুর্বৃত্তরা রাস্তায় রশি টানিয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে দুই ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।”
এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তাদের শান্ত রাখতে সেখানে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
ওসি জাফর আহম্মেদ আরও জানিয়েছেন, নিহত দুজনের লাশ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
তবে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।