সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে নুরুলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
Published : 08 Apr 2025, 09:36 AM
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার চার সন্তান আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান সড়কের চৌধুরীর চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বলে কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান।
নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল আমিন।
আহতরা হলেন নুরুলের ছেলে বজলুর রহমান ভুলু, মো. মামুন, মো. ফিরোজ ও মেয়ে আছমা আক্তার।
এদিকে নুরুল আমিনের মৃত্যুতে তোরাবগঞ্জ বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নুরুল আমিনকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য দাবি করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা। মিছিলে ৪০-৫০ জন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবারের পরিবারের সদস্যরা বলেন, নুরুল আমিনের ছেলে মামুন চা খাচ্ছিল চৌধুরীর দোকানে। এ সময় তাকে একা পেয়ে কোনো কারণ ছাড়াই কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিম মারধর করে। খবর পেয়ে নুরুল তার আরেক ছেলে বজলুর রহমান বুলু ও মেয়ে আছমাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়৷ এ সময় মামুনকে বাঁচাতে গেলে তারাও মারধরের শিকার হয়। এই মারধরে নুরুল আহত হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে চিকিৎসককের পরামর্শে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নুরুলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে বজলুর রহমান বুলু বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বহিরাগতদের নিয়ে চা দোকানের মাচায় আড্ডা দেয়। দুইদিন আগে আমি তাদের কাছ থেকে বহিরাগতদের পরিচয় জানতে চাই।
“এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরেই তারা আমার ভাইকে মারে। পরে আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদেরও মেরে আহত করে। তাদের পিটুনিতেই আমার বাবা মারা গেছে।”
ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।