শ্রমিকদের অভিযোগ, সকালে বিক্ষোভ করার সময় বহিরাগত লোকজন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে৷ পরে শ্রমিকরা তাদের বের করে দেন৷
Published : 08 Feb 2024, 02:52 PM
বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক নগরীতে একটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন।
ক্রোনী গ্রুপের ‘অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
তাদের অভিযোগ, কারখানার ডাইং ও নিটিং শাখায় অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসের ১ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও ছয় মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে কিস্তিতে।
শ্রমিকরা জানুয়ারি মাসের বেতন এখনও পান নাই। ডিসেম্বর মাসেরও আংশিক বেতন বকেয়া রয়েছে৷ ওই বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বুধবারও বিক্ষোভ করেন বলে জানান শ্রমিকরা৷
অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেডের নিটিং শাখার শ্রমিক জামাল হোসেন জানান, সকালে বিক্ষোভ করার সময় বহিরাগত লোকজন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে৷ পরে শ্রমিকরা তাদের বের করে দেন৷ এ সময় কারখানার ভেতর থেকে কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়।
শ্রমিকদের দমন করতে এসব অস্ত্র রাতেই কারখানার ভেতর ঢোকানো হয়েছে বলে ধারণা জামালের।
কারখানার সুইং শাখার শ্রমিক চম্পা আক্তারের অভিযোগ, শিল্প পুলিশের উপস্থিতিতেই বহিরাগতরা কারখানায় ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে৷ এ সময় কয়েকজন শ্রমিককে মারধরও করা হয়।
চম্পা বলেন, “আমাদের কিস্তিতে বেতন দিচ্ছে৷ ডিসেম্বরের কিস্তি বাকি আছে; আর জানুয়ারির বেতন তো পাই নাই। বকেয়া বেতনের জন্য কালকেও আমরা কাজ বাদ দিয়ে আন্দোলন করেছি, আজও করতেছি৷”
বিক্ষোভ শেষ হওয়ার পর বেলা ২টার দিকে শ্রমিকরা কিছু অস্ত্রশস্ত্র কারখানার বাইরে এনে রাখেন। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে সেগুলো থানায় নিয়ে যেতে দেখা যায়৷
জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আযম বলেন, শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
“কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে কারখানার ভেতর থেকে, সেগুলো আমরা জব্দ করেছি৷”
বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে ক্রোনী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ আসলাম সানির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলে নাই।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর অর্ডার কমে যাওয়ার কথা বলে ক্রোনী গ্রুপের ক্রোনী টেক্স সোয়েটার লিমিটেড কারখানায় লে-অফ ঘোষণা করা হয়৷ এর প্রতিবাদে পরদিন কারখানার কয়েক’শ শ্রমিক ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।