জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটার ঘটনায় বরগুনার আরও পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সরিয়ে নেওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে আরও পাঁচ সদস্যকে সরানোর কথা সাংবাদিকদের জানান জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক।
তিনি আরও জানান, বরগুনা সদর থানার এএসআই সাগর, পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল রাফিউল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল কে এম সানিকে ভোলা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডিবি পুলিশের এএসআই ইসমাইল ও কনস্টেবল রুহুল আমিনকে পিরোজপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও নতুন কমিটির নেতাদের সমর্থকদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা জানান। তবে তার উপস্থিতিতেই পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে।
এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রথমে বরিশাল রেঞ্চে এবং পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: