পুলিশ জানায়, আহত অবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Published : 20 Mar 2025, 03:04 PM
নাটোরের লালপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতার ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার এক সহকারীও আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার লালপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়ার রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- লালপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কর্মকার (৫২) এবং তার সহযোগী খোকন কর্মকার (৪৫)। তারা দুজনই উপজেলার বিলমাড়িয়ার নাগশসা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, আহত অবস্থায় দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিপেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “শ্রীশ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাইয়ের ৫০ বিঘা আশ্রমের কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষরা এই হামলা চালাতে পারে বলে আহতরা মনে করছেন।”
তিনি বলেন, “আশ্রমের বেশ কিছু সম্পদ থাকায় অনেকেরই লোভ কাজ করে। সেখানে ১০ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সঞ্জয় কর্মকার। ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আশ্রমের টাকা-পয়সা হিসাব না দেওয়া এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন উত্তম মণ্ডলসহ আশ্রমের একটি পক্ষ।
“এ সময় লালপুরের ইউএনওসহ এলাকার পাঁচ-ছয়শ লোক আশ্রমে সালিশে বসে সেই কমিটি বিলুপ্ত করে এবং নতুন অ্যাডহক কমিটির জন্য নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে এ বছরের ২৫ জানুয়ারি সেই কমিটি বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা করেন সঞ্জয় কর্মকার।”
দিপেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “মামলার কারণে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আর তদন্ত করতে পারেনি অ্যাডহক কমিটি। শুনানি শেষে বুধবার সেই মামলার রায় সঞ্জয় কর্মকারের পক্ষে যায় এবং তার হারানো পদ তিনি ফিরে পান। এ কারণে প্রতিপক্ষরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
হামলার বিষয়ে সঞ্জয় কর্মকার বলেন, “হামলাকারীদের আমি দেখলে চিনব। উত্তমেরা লোক দিয়ে আমাকে মারাইছে। আমি মরে যাই, তবে আমার আশ্রম রক্ষা হোক। আশ্রমকে আমি লুটপাট হতে দিতে চাই না। বহুদিন থেকে ওরা চেষ্টা করছে।”
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে উত্তম মণ্ডলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি এ ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানি না।”
এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি নাজমুল বলেন, “পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”