স্থানীয় একজন জানান, বাঘটির আক্রমণে একটি গরু মারা যায়। পরে মৃত গরুর শরীরে কে বা কারা বিষ মিশিয়ে ফেলে রাখেন।
Published : 03 Feb 2024, 08:57 PM
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে একটি চিতা বাঘের মরদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। তবে প্রাণীটি কীভাবে মারা গেল তা বলতে পারছে না তারা।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার তোড়েয়া ইউনিয়নের দাড়খোড় সীমান্ত এলাকায় নদীর পাড় থেকে চিতার মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে বনবিভাগের কর্মীরা জানান।
তারা জানান, ওই দিন বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃত বাঘটিকে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কর্মীরা আরও জানান, চিতা বাঘটির দৈর্ঘ্য ৫২ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৩০ ইঞ্চি।
বনবিভাগ ও স্থানীয়দের দাবি, দাড়খোড় সীমান্তের ভারতীয় অংশের চা বাগানে চিতা বাঘসহ অনেক বন্যপ্রাণী রয়েছে। সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাগান ও ভুট্টা ক্ষেতে মাঝে-মধ্যেই এমন নানা প্রাণীর দেখা মেলে।
দাড়খোর গ্রামের আসাদুর বলেন, বৃহস্পতিবার ওই সীমান্ত এলাকার দাড়খোর গ্রামের এক কৃষকের একটি গরুকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে চিতা বাঘটি। বাঘের খবর শুনে গ্রামবাসী ওই এলাকায় ভিড় জমান।
এর মধ্যে মারা যাওয়া গরুর শরীরে কে বা কারা বিষ মিশিয়ে রাখেন। শুক্রবার সকালে নাগর নদীর পাড়ে লোকজন বাঘটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। আসাদুরের দাবি, বিষ মেশানো মৃত গরুর মাংস খেয়ে বাঘটি মারা গেছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ, বিজিবি, পুলিশ ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুর ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দাড়খোর আকবর আলীর একটি গরু হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে মারা যায়। তখনো কেউ বাঘের কথা জানতো না। স্থানীয়দের ধারণা ছিল, শেয়াল বা অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী গরুটিকে আক্রমণ করে মেরেছে।
বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসূদন বর্মন বলেন, “এলাকায় চিতা বাঘটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। তবে বাঘটি কীভাবে মারা গেল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।”
আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমাদের এখান থেকে নমুনা পাঠানার কোনো ব্যবস্থা নেই। বনবিভাগ প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিলে ময়নাতদন্তের পর যথাযথ ল্যাবে বাঘের নমুনা পাঠানো হবে।”