দেশে গুণগত মানের পাট উৎপাদনে বীজ আমদানি কমানোর আহ্বান জানান তিনি।
Published : 09 Jun 2024, 12:17 AM
ফরিদপুরে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা দুটি জুট মিল পরিদর্শন করেছেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।
শনিবার সন্ধ্যায় সরকারের এ দুই মন্ত্রী ফরিদপুর শহতলীর বাখুন্ডায় জোবায়দা করিম জুট মিল এবং নগরকান্দার তালমায় এএম জুট ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করেন।
এ সময় মন্ত্রীরা মিলের শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন ও মিলের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
মিল পরিদর্শনে সময় আরও ছিলেন, ফরিদপুর-২ আসনের এমপি শাহদাব আকবর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জোবায়দা-করিম জুটের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর মিয়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদ মিয়া কুটি, এএম জুট ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান এফএম মুস্তাক আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুত্তাসিম ফুয়াদ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পাট শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন বলে জানান, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, “তৈরি পোশাক শিল্পের মত পাটশিল্পকেও এগিয়ে নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পাটজাত ও চামড়া শিল্প উন্নয়নে পাঁচ পাঁচবার বক্তব্য দিয়েছেন।
“তিনি গত পরশু সংসদে বাজেট অধিবেশনে পাটের ব্যাগ ও শাড়ি পড়ে এসেছিলেন।”
এ সময় মন্ত্রী পলিথিনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে বলেন, “আমাদের পলিথিনের তৈরি বস্তার পরিবর্তে পাটের বস্তা ও ব্যাগ ব্যবহার করতেই হবে। তা না হলে, আমাদের আগামী প্রজন্ম ও দেশের মাটি রক্ষা করা সম্ভব নয়।”
গুণগত মানের পাট উৎপাদনে বীজের আমদানি কমানোর আহ্বান
দেশে গুণগত মানের পাট উৎপাদনে বীজের আমদানি নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের শিশু একাডেমীর হল রুমে পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে পাটখাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈদেশিক মুদ্রার আলো দেখতে গুণগত পাটের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী।
এ সময় পাটের দাম নির্ধারণ করা নিয়ে কাজ চলছে বলেও মন্ত্রী জানান।
মতবিনিময় সভায় পাটচাষি, পাট ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও পাটশিল্প মালিকরা ছিলেন।
চাষিরা পাট উৎপাদনের ক্ষেত্রে পানির সংকটের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বাড়তি শ্রমিক ও জ্বালানি খরচসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি পাটের ভালো দামের দাবিও তুলে ধরেন চাষিরা।
রাশেদ মোল্যা নামে এক পাটচাষি বলেন, “পাট উৎপাদনে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমাদের এখানে তীব্র পানি সংকটের কারণে পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু দাম কমে যাচ্ছে।”
এ সময় মন্ত্রী পাট পচানোর ক্ষেত্রে পানি সংকটের বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আগে যে পুকুর, ডোবা ছিল আজ সেগুলো নেই। এই সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য কীভাবে পাট জাগ দেওয়া যায় সেজন্য বৈজ্ঞানিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেখার চেষ্টা করছি, ছোট্ট একটি জায়গা করে সেখানে পাট জাগ দেওয়া যায় কিনা। এটাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কেমিক্যাল দিয়ে পাট পচানোর ব্যবস্থা করা নিয়ে কাজ চলছে। পাশাপাশি পাটখড়িকে রক্ষা করার জন্যও কাজ চলবে।”