রবীন্দ্রনাথ সরেন বড় ভালো লোক ছিলেন, স্মরণসভায় বক্তারা

রাজশাহীতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাবেক সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন স্মরণে সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার দুপুর ১২টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের হল রুমে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের আয়োজনে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে আদিবাসীদের বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি র‌্যালি রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয় থেকে শুরু করে কাদিরগঞ্জ মোড় হয়ে নগর ভবনের সামনে দিয়ে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়।

স্মরণসভার শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ সরেনের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি বিচিত্রা তির্কির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান, সহসাধারণ সম্পাদক ও রংপুর জেলা সভাপতি বিমল খালকো, সাংগঠনিক সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর জেলা সভাপতি রঘুনাথ এক্কা, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হেমন্ত পাহান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক টুনু পাহান, বগুড়া জেলা সভাপতি সন্তোষ সিং বাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নাটোর জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রতাব সিং, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অজিত কুমার মুন্ডা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি অনিল গজাড়, বগুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক সাগর সিং, নাটোর জেলার সাবেক সভাপতি সৃজল পাহান।

রবীন্দ্রনাথ সরেনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, সমাজসেবক ওয়ালিউর রহমান বাবু।

বক্তারা বলেন, সারাদেশে আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের লড়াই-সংগ্রামে রবীন্দ্রনাথ সরেনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সারাজীবন এদেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নির্যাতিত মানুষদের পাশে থেকে কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন ও ভাল মানুষ। তার অনুপস্থিতি নিশ্চয়ই এদেশের আদিবাসীদের জন্য বড় ক্ষতি।

আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক স্বাধীন ভূমি কমিশন ও মন্ত্রণালয় গঠন, আদিবাসী শিশুর মাতৃভাষায় শিক্ষার সংগ্রামে রবীন্দ্রনাথ সরেনের অবদানকে স্মরণ করেন বক্তারা।

তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ সরেন সারাদেশে আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট, শোষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদ করেছেন এবং প্রতিটি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কাজ করে গেছেন।

সভা থেকে বক্তারা- সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের পাঁচ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল এবং উচ্চশিক্ষায় আদিবাসীদের কোটা বাস্তবায়ন; গাইবান্ধায় সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্মের তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার; আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জমি জবরদখল, মিথ্যা মামলা, লুটপাট, পুলিশি হয়রানি বন্ধ; আদিবাসীদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ এবং ভূমি অফিসের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানানো হয়।