বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাকিস্তান লেখা বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তার রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ জুলাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘বরিশাল মেডিকেলে এখনও ঝুলছে পাকিস্তানের সাইনবোর্ড’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এখন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার বাসবার ট্র্যাকিং সিস্টেম বোর্ডে থাকা সাইনবোর্ডটি সাদা রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।
বোর্ডের এ সাইন বোর্ড খুলে ফেলতে বিভিন্ন সভায় প্রস্তাব উত্থাপনসহ হাসপাতালের একাধিক পরিচালককেও বলেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএস মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি একাধিকবার আইনশৃংখলা কমিটিসহ বিভিন্ন সভায় বিষয়টি তুলেছি। হাসপাতালের পরপর চার পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করে সাইনবোর্ড খুলে ফেলার তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু কেউ সাইনবোর্ড খোলেনি।”
মহিউদ্দিন বলেন, “সাইনবোর্ড থেকে মুছে ফেললেই হবে না। মন থেকেও মুছে ফেলতে হবে। কিন্তু তাদের কার্যক্রমে মন থেকে মুছে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে না।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের পাঁচতলা ভবনের চারটি সিঁড়ি রয়েছে। প্রত্যেকটি সিড়ির পাঁচতলা পর্যন্ত মোট ২১টি বাসবার ট্র্যাকিং সিস্টেম বোর্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি বোর্ডে ‘গভ. অব ইস্ট পাকিস্তান’ লেখা ছিল।
বর্তমানে এই ১১ বোর্ড সাদা রং দিয়ে গভ. অব ইষ্ট পাকিস্তান লেখাসহ লাল রং দিয়ে আঁকা বিপদজনক প্রতীকও ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে এতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
প্রথমে এর নাম ছিল বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে বরিশালের সন্তান শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে নামকরণ করা হয়।