আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে এই মিছিল হয়।
Published : 29 Nov 2024, 06:14 PM
আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল করেন তারা।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী সোয়াইব হাসান।
এ সময় বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মহিবুর রহমান বলেন, “ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতা সারা বিশ্বের মানবিকতাকে শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়েছে। ইসরায়েল এক বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়ে আসছে। আজকে পর্যন্ত ৪৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশুসহ ফিলিস্তিনি মানুষকে হত্যা করেছে। লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে আহত করে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। এই জায়নবাদী ও সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
“বিশ্ববাসীর প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, যাতে মানবতার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কায়েম হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান থাকবে, যাতে আমরা ফিলিস্তিন এবং মানবিকতার পাশে দাঁড়াতে পারি। যাতে আমাদের বিবেক জাগ্রত হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষাথী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “আমরা ঘুমাতে পারি না যখন দেখি ফিলিস্তিনের ছোট ছোট শিশুসহ নারী-পুরুষদের ইসরায়েলি বাহিনী পশুপাখির মতো গুলি করে হত্যা করে। এই দৃশ্য আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। এই দৃশ্য আমাদের বিশ্ব বিবেককে কাঁদাতে ব্যর্থ হয়েছে, আমরা এই বিশ্ব বিবেককে ঘৃণা করি।
“যারা আমাদের সভ্যতার বুলি শেখাতে আসে সেই সভ্যতা ফিলিস্তিনের পক্ষে কেন কথা বলে না সেই প্রশ্ন আমাদের মনে যুগ যুগ ধরে থেকে যাচ্ছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মানুষ আজ নিজ দেশে পরবাসীর মতো বসবাস করছে। সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল তাদের দখলদারিত্ব কায়েম করতে করতে ফিলিস্তিনকে কোণঠাসা করে ফেলছে। এ রকম চলতে থাকলে আগামী কয়েক দশক পরে বিশ্বমানচিত্র থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “এজন্য আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আমাদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জারি রেখেছি, যতদিন না পর্যন্ত ফিলিস্তিন তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই প্রতিবাদ চলবে।”
মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও একজন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ইসহাক বলেন, “গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশের শিশু, জনগণ এবং বেসামরিক মানুষের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে। গণহত্যার ফলে আমরা যেখানে বসবাস করছি সেখানে দিনের পর দিন মানবতা কমছে।
“আমরা বাংলাদেশি জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে উপনিবেশবাদ তৈরির জন্য যে অপারেশন চালানো হচ্ছে, যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে তা একদিন বন্ধ হয়ে যাবে। এবং এই দিন খুব বেশি দূরে নয়।”