“আমরাও যৌক্তিক কোটা সংস্কার চাই। কিন্তু তাই বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শ্লোগান মেনে নিতে পারি না।”
Published : 16 Jul 2024, 03:17 PM
ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার সকালে শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
তাদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য উজির আলী স্কুল মাঠে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সে সময় শহরের পোস্ট অফিস এলাকা থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে আসে। এরপর তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।
হামলাকারীরা লাঠি ও রড দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে ব্যানার কেড়ে নেয় এবং মাইক ভাঙচুর করে। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়। তারপর ছাত্রলীগ সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ফিরে যায়।
কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী সরকারি কেসি কলেজের শিক্ষার্থীর আবু হুরায়রা বলেন, “কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সে সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের বেধড়ক মারধরে ১০ জন সাধারণ আন্দোলনকারী আহত হয়।”
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান বলেন, “আমরাও যৌক্তিক কোটা সংস্কার চাই। কিন্তু তাই বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শ্লোগান মেনে নিতে পারি না।”
তার ভাষ্য, “শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও শিবিরের লোকজন মিশে গিয়েছিল। এ খবর পাওয়ার পর ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করে।”
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দীন বলেন, “কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শহরের উজির আলী স্কুল অ্যন্ড কলেজ মাঠে জড়ো হয়। তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।”