মেলার শেষ দিনেও ছিল উপচেপড়া ভিড়।
Published : 17 Jan 2025, 11:38 PM
যশোরের চৌগাছায় শেষ হয়েছে তিন দিনের গুড় মেলা।
গাছিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার মাধ্যমে শুক্রবার মেলা শেষ হয়।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গণি।
এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার।
এ বছর মেলায় প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন স্বরূপদাহ ইউনিয়নের সাঞ্চাডাঙ্গা গ্রামের গাছি আব্দুর রাজ্জাক।
দ্বিতীয় পুরস্কার ৭ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন পাতিবিলা ইউনিয়নের গাছি আবুল গাজি।
তৃতীয় পুরস্কার ৫ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের গাছি মিজানুর রহমান।
এছাড়া ১১টি ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠ ১১ জন গাছিকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।
এর আগে বুধবার চৌগাছা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন ডিসি আজাহারুল ইসলাম।
এতে নিজেদের তৈরি খেজুর গুড় ও পাটালি নিয়ে স্বতঃষ্ফূর্ত অংশ নিয়েছেন গাছিরা।
মেলার শেষ দিনে আলোচনা অনুষ্ঠানের অতিথি নাসিমুল গণি বলেন, “খেজুর গুড় যশোরবাসীর নিজস্ব শিল্প। যশোর জেলা খেজুর গুড় ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। সারা দেশে যশোরের খেজুর গুড়ের চাহিদা রয়েছে। নির্ভেজাল খেজুর গুড়ের নিশ্চয়তা দিতে হবে। বিলুপ্ত প্রায় গুড় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন নতুন গাছি তৈরি করতে হবে।”
তিনি বলেন, “চৌগাছার মানুষ গুড়শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে মেলার আয়োজন করেছে। আমি এই উপজেলারই একজন। এজন্য আমি খুবই আনন্দিত। মেলায় আসা গাছিরা তাদের উৎপাদিত খাঁটি গুড় ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করার জায়গা পেয়েছে। আবার ক্রেতারাও খাঁটি গুড় কিনতে পারছেন।”
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আ খ ম কবিরুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক, যশোরের ডিসি আজাহারুল ইসলাম, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা।
শুক্রবার মেলার শেষ দিনেও ছিল দর্শণার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। শেষ সময়ে একটু কম দামে গুড় কিনতে আসেন অনেকে।
আরো পড়ুন: