সরকারি বাসা-বাড়ির গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে সওজের এক নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করলেও সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলছেন, অনুমতির প্রয়োজন আছে।
Published : 21 Jan 2024, 04:47 PM
সিলেটে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চারটি গাছ কাটা হয়েছে।
নগরীর জালালাবাদ এলাকায় অধিদপ্তরের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গাছগুলো কাটতে দেখা যায়।
রোববার দুপুর ২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাটা গাছের অংশগুলো ঠেলা গাড়িতে তুলে রাখা হয়েছে। ডালপালা পড়ে আছে আশপাশে।
এ সময় গাছ কাটার কাজে থাকা সেনাউর রহমান নামে এক শ্রমিক জানান, দুটি কাঁঠাল ও একটি মেহগনি গাছ কাটা হয়েছে। বড় একটি আম গাছও কাটা হচ্ছে।
সেনাউর বলেন, “বাসার দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার হারুন আমাদের কাজে লাগিয়েছে। বলেছে, কাটা গাছের ডালপালা আমরা নিব, আর গাছের গুড়ি তাদের। আমার সঙ্গে কাজে আছে সাইফুর রহমান ও নরুল।”
তবে এ সময় কোয়ার্টারের নিরাপত্তা প্রহরী হারুনকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারী জানান, তাদের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুমিনুল হক ইলিয়াসী গাছগুলো কেটে নিচ্ছেন। গাছ কাটার বিষয়ে সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা কিছুই জানেন না। এর আগেও এভাবে গাছ কাটা হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সিলেট সওজের কার্যসহকারী পদে কর্মরত মুমিনুল হক ইলিয়াসীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ওই কোয়ার্টারের দায়িত্বে থাকা উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহামুদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি কোয়ার্টারের অতিরিক্ত দায়িত্বে এসেছি তিন/চার দিন হল। গাছ কাটার বিষয়ে খোঁজ নিতে মুমিনুল হককে ডাকা হয়েছে।”
সরকারি বাসা-বাড়ির গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন নেই দাবি করে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, “তবুও গাছ কাটার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি জানান, যে জায়গায় গাছ কাটা হয়েছে, সেখানের পুরোনো ভবন ভেঙে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয় লেন প্রকল্পের জন্য নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হবে।
তবে সরকারি বাসা-বাড়ির গাছ কাটার জন্যও বন বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন আছে জানিয়ে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গাছ কাটার বিষয়ে আমরা কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পেলে গাছের দাম ঠিক করে অনুমতি দেওয়া হবে।’’