তার গবেষণার বিষয় বায়োস্টিমুলেন্ট প্রয়োগে উদ্ভিদের লবণাক্ত সহিষ্ণুতার প্রতিক্রিয়া ও উদ্ভিদের মলিকুলার কার্যপদ্ধতি বিশ্লেষণ।
Published : 11 Jan 2025, 10:06 PM
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাহনুমা নুরাইন তাহসিন বাংলাদেশ থেকে প্রথম বারের মত আমেরিকান সোসাইটি অব প্লান্ট বায়োলজিস্টসের সামার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট রিসার্চ ফেলোশিপ অর্জন করেছেন।
শনিবার বিষয়টি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দিলারা আক্তার।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত রাহনুমা ওই বিভাগের গবেষণা দলের সদস্য।
এছাড়া তিনি ড. দিলারা আক্তারের গবেষণা দলেও কাজ করছেন।
ড. দিলারা বলেন, রাহনুমা বর্তমানে জাপানের ইওয়াটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্ল্যান্ট বায়োসাইন্স বিভাগের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি অধ্যাপক ড. আবিদুর রহমানের ‘আবিদুর ল্যাব’ এ গবেষণা করছেন।
তার গবেষণার বিষয় বায়োস্টিমুলেন্ট প্রয়োগে উদ্ভিদের লবণাক্ত সহিষ্ণুতার প্রতিক্রিয়া এবং উদ্ভিদের মলিকুলার কার্যপদ্ধতি বিশ্লেষণ।
এটি ড. দিলারা আক্তারের এসএইউআরইএস কর্তৃক গবেষণা প্রজেক্টেরই একটি অংশ।
গবেষণার ফলাফল ২০২৫ সালের ২৬-৩০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে অনুষ্ঠিতব্য এএসপিবির বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আবিদুর রহমান বলেন, “এটি একটি চমৎকার ফেলোশিপ প্রোগ্রাম যা শিক্ষার্থীদের উদ্ভিদ বিজ্ঞান গবেষণায় অনুপ্রাণিত করে। রাহনুমার কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতার ফলাফল এটি। আমি বিশ্বাস করি ‘Abidur Lab’ এ গবেষণার মাধ্যমে রাহনুমা আধুনিক ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করবে।”
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা আক্তার বলেন, ‘এএসপিবি সার্ফ’ প্রোগ্রাম গবেষণামুখি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ। এটি শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণা দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মত এই ফেলোশিপ অর্জন করেছে রাহনুমা।”
জাপানে অবস্থানরত রাহনুমা নুরাইন তাহসিন সাংবাদিকদের বলেন, এই অর্জন সম্ভব হয়েছে গবেষণা দলের সহযোগিতা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণার জন্য। অধ্যাপক ড. দিলারা আক্তারের মাধ্যমে আমি এই ফেলোশিপের কথা জানতে পারি। তার উৎসাহে ও অধ্যাপক ড. আবিদুর রহমান স্যারের মেন্টরশিপে আমি এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করি এবং নির্বাচিত হই। আবিদুর স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য বিশেষ সৌভাগ্যের বিষয়। আমি এখানে গবেষণার নানা বিষয় শিখছি। এই সুযোগ আমার গবেষণায় অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবছে।”