রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়, বিকালে আবার ঝড় হয়েছে। ফলে বেশ কিছু এলাকায় আবারও বিদ্যুৎ লাইন বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
Published : 30 Apr 2024, 10:33 PM
মৌলভীবাজারে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত চার উপজেলায় সঞ্চালন লাইন ঠিক করার পর বিদ্যুৎ ফিরেছে।
রোববার বিকালে আধা ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ে গাছপালা ভেঙে বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও সদর উপজেলার আংশিক এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় গোটা এলাকা। তারপর থেকে মেরামতে নামে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা গেছে বলে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, “ঝড়ে জেলার এক হাজার ১৯৭টি স্পটে তার ছিঁড়েছিল। খুঁটি ভেঙেছে ৩৫টি এবং হেলে পড়েছে ১০৫টি। তারের উপর গাছ পড়ে ঝুলে ছিল আরও ৩৬৭টি স্পটে। এ ছাড়া ক্রস আর্ম ভেঙেছে ৩৫টি, ইনসুলেটর ক্র্যাক হয়েছে ৫২টি, জাম্পারিং আউট হয়েছে ৪৩টি স্পটে আর মিটার পুড়েছে ৫১২টি। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু ট্রান্সফরমার।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ন্ত্রণে প্রায় চার লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে চার লক্ষ ৫৭ হাজার গ্রাহককে বর্তমানে বিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি তিন হাজার গ্রাহককে রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান মিজানুর রহমান।
রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়, বিকালে আবার ঝড় হয়েছে। ফলে বেশ কিছু এলাকায় আবারও বিদ্যুৎ লাইন বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে ওইসব এলাকায় আবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। সেগুলো মেরামতের জন্য এরই মধ্যে কর্মীরা কাজ শুরু করেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দাবি করেছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে ঝড়ে বিধ্বস্ত লাইন দ্রুত ঠিক করা কষ্টসাধ্য ছিল। বিভিন্ন চা বাগান থেকে গাছ কাটা শ্রমিক সংগ্রহ করে এবং ঠিকাদারদের সহযোগিতায় অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮০ ভাগ এবং ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ৯৫ ভাগ কাজ শেষ করেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মৌলভীবাজারের এজিএম আশরাফ হায়দার বলেন, “হাজারের উপরে লাইন ছিঁড়েছে। অনেক খুঁটি ভেঙেছে, শত শত স্পটে তারের উপর গাছ ঝুলে আছে। এই অবস্থায় অফিসে বসে থাকার সুযোগ নেই। আমরা ঠিকাদারদের সঙ্গে মাঠে ছিলাম।”
মৌলভীবাবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আব্দুর রহিম, ডিজিএম নজরুল ইসলাম মোল্লা, এজিএম ক্লিনটন তালুকদার জানান, সবার সহযোগিতার কারণে এত দ্রুত বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা গেছে।
শ্রীমঙ্গলের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা সুলতান মাহমুদ জানান, ঝড়ে তাদের এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সারারাত কাজ করে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন।