সেতুটি দ্রুত মেরামত করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি করেছেন গ্রামবাসী।
Published : 18 Jan 2025, 08:22 PM
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় খালের সেতু ভেঙে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেড়েছে ভোগান্তি।
গত ডিসেম্বরের একেবারে শেষে দিকে উপজেলার লেবুতলা-ডুমরিয়া বাজার সড়কের চিথলিয়া গ্রামের কাটা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়ে বলে ওই গ্রামের গৃহবধূ সুবর্ণা মজুমদার জানান।
এরপর থেকে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন, মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।
সম্প্রতি স্থানীয়রা খালের স্লুইচ গেইটের ওপর কাঠ বিছিয়ে অস্থায়ীভাবে কোনো রকমে খাল পারাপারের ব্যবস্থা করেছেন। তবে ভারি মালামাল ও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
গ্রামবাসী দ্রুত সেতুটি মেরামত করে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি করেছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন, “গত ৩০ ডিসেম্বর লেবুতলা-ডুমরিয়া বাজার সড়কের শৈলদহ নদী ও কাটা খালের সংযোগ স্থলের সেতুটি ভেঙে যায়। শৈলদহ নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে সেতুটি ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে গেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
“বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছি।”
তিনি বলেন, “বিকল্প পথে চলাচলের ব্যবস্থা করতে আমরা বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে কিছু কাজ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে আমরা ওই সেতুর বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব।”
চিথলিয়া গ্রামের সুবর্ণা মজুমদার বলেন, “ডুমরিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এ এলাকার মধ্যে একটি হাই স্কুল, দুটি প্রাইমারি স্কুল, একটি বাজার, পানির ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ধর্মীয় উপসনালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সেতুর পাশে স্থাপিত ইউনিয়ন পানি সরবরাহ পাইপ লাইনও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
১০ জানুয়ারি স্থানীয়রা ওই খালের স্লুইচ গেইটের ওপর কাঠ বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হচ্ছেন। তবে অন্তত ৫০০ মিটার পথ ঘুরে কাঁচা রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে । আর ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এমনকি অনেক পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। আমরা সেতু সংস্কার করে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটাগাতী সরদারপাড়া গ্রামের গৃহবধূ সুখি বেগম বলেন, “নিয়মিত আমি এ পথে যাতায়াত করি। সেতু ভেঙে গেছে। তাই আমাদের অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।”
ভ্যানচালক ইয়াকুব তালুকদার বলেন, “সেতু ভেঙে যাওয়ায় ১০ দিনের মত এখানে গাড়ি চালাতে পারছি না। পরে স্লুইচ গেইটে কাঠ বিছিয়ে দিয়ে স্থানীয়রা যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে। এটি স্থায়ী সমাধান নয়। আমরা চাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।”