পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
Published : 23 Mar 2024, 08:18 PM
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের সলিংমোড় এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিন্টু মোল্লাহ জানান।
নিহত ২০ বছর বয়সী আমেনা খাতুন ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার কুটিয়াপাড়া গ্রামে।
এ ঘটনার পর থেকে আমেনার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আমেনার স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য আমেনার স্বামী আনোয়ার হোসেন, দেবর দেলোয়ার হোসেন, শাশুড়ি আনোয়ারা, মামা শ্বশুর দুলাল ও মামি শাশুড়ি রেনু পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে।
ওসি বলেন, আট বছর আগে চকপাড়া গ্রামের গুঞ্জুর আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমেনার বিয়ে হয়। আমেনার পাঁচ বছরের একটি ছেলে ও দেড় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সময় স্বামী, দেবর ও শাশুড়ি মিলে আমেনাকে ওপর নির্যাতন করত। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও আমেনার ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “শুক্রবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। এর জেরে রাত ১১টার দিকে আমেনাকে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে রেখে আসে।
“সকালে ওই বাড়িতে কাউকে দেখতে না পাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন মিলে ভেতরে যান। এ সময় ঘরের মেঝেতে আমেনার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেস তারা।”
আমেনার মা বেগমের অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। আমি মেয়ের দিকে তাকিয়ে জন্য ঘরের আসবাবপত্রসহ কয়েক লাখ টাকা দিয়েছি।
“কিছুদিন আগেও ১০ হাজার টাকা দিয়েছি।তবু বন্ধ হয়নি আমেনার ওপর নির্যাতন। আমার মেয়েকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।”
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিন্টু মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমেনার মরদেহ উদ্ধার করেন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।তার গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
এ ঘটনায় স্বজনরা অভিযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।