“সুন্দরবন আমাদের মায়ের মত আগলে রাখে। সুন্দরবনকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”
Published : 14 Feb 2025, 03:57 PM
নানা আয়োজনে বাগেরহাটে সুন্দরবন দিবস উদযাপিত হয়েছে।
২০০২ সাল থেকে উপকূলীয় বাগেরহাটসহ সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোতে স্থানীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন দিবসটি পালন করে আসছে।
বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও বেসরকারি সংগঠন ‘সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’ যৌথভাবে এই সুন্দরবন দিবস পালন করে।
‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন’-স্লোগানে শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। সেটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা হয়।
বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম, সাধারণ সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম, সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুপান্তরের জিলানী হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন,
বিশ্বের সবচেয়ে ম্যানগ্রোভ বন হচ্ছে সুন্দরবন। ঝড় জলোচ্ছ্বাস আসলে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মত আগলে রাখে।
“সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এই সুন্দরবনকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সুন্দরবন জীববৈচিত্রে ভরপুর। সুন্দরবনকে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।”
সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে বাঁচাতে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। উপকূলীয় এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, ১৪ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস হিসেবে ঘোষণা করার।
এছাড়া মোংলা উপজেলাতেও সুন্দরবন দিবস পালিত হয়েছে।
২০০১ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি সংগঠন রূপান্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপাসহ দেশের অর্ধশতাধিক সংগঠন যৌথভাবে সুন্দরবনের সম্পদের সুরক্ষা, পরিকল্পিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবিতে এবং সুন্দরবনের প্রতি দেশ বিদেশের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে খুলনায় তিন দিনের জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন আয়োজন করে।
ওই সম্মেলন থেকে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ‘সুন্দরবন দিবস’ উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।আয়োজকরা শুরু থেকে এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়ে আসছে।