“উজানে এই সময়ে বৃষ্টিপাত হলে নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।”
Published : 22 Jun 2023, 01:45 PM
সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমলেও পাহাড়ি ঢলে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সুনামগঞ্জ পয়েন্টে তা এখনও বিপৎসীমার নিচে আছে।
তাছাড়া সীমান্ত নদী যাদুকাটা, পুরাতন সুরমাসহ অন্যান্য নদ নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের লাউড়েরগড় পয়েন্টে ৩১ মিলিমিটার, ছাতকে ৩৬ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ৩১ মিলিমিটার এবং দিরাইয়ে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত কম হলেও ওই সময়ে সুরমাসহ অন্যান্য নদ নদীতে পানি বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ৭.৫২ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে। তবে একই নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া নলজুর নদীতে ৬.২৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায়, পাটলাই নদীতে ৫.৮১ সেন্টিমিটার উচ্চতায়, দিরাইয়ে পুরাতন সুরমায় ৫.৬৮ সেন্টিমিটার, যাদুকাটায় ৫.১৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবহাওয়া ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, উজানে এই সময়ে বৃষ্টিপাত হলে নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
সুনামগঞ্জের ইব্রাহিমপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সোয়েব মিয়া বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদ নদীর পানি বাড়ছে। আমাদের এলাকার নিম্নাঞ্চলের কাঁচা রাস্তাঘাট প্লাবিত হচ্ছে।
এভাবে পানি বাড়লে ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে মানুষকে দুর্ভোগে ঠেলে দিতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান এই ব্যবসায়ী।
শাল্লা উপজেলার চাকুয়া গ্রামের প্রীতম দাশ বলেন, “আমাদের এলাকায় পানি কিছুটা বাড়ছে। তবে হাওরে এখনো ভরা বর্ষার পানি আসেনি। নদ নদীতে পানি বাড়ায় এখন হাওরেও বাড়বে।
“হাওরে পানি বাড়লে আমাদের যাতায়াত সহজ হবে। কারণ এখন না নৌকা না পায়ে এই অবস্থায় চলাফেরা করতে হচ্ছে।”