চিকিৎসক জানান, নিহত যুবকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
Published : 13 Jun 2024, 05:21 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ‘জমির বিরোধের জেরে’ একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানিয়েছেন।
নিহত রেজাউল করিম (৩২) ওই ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া বাসিন্দা মৃত হামিদ হোসেনের ছেলে।
নিহতের মামা মোহাম্মদ আয়াছ বলেন, “জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। সকালে মামলায় হাজিরা দিতে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশে আমি, শাহ এমরান, নুর করিম ও রেজাউল করিম চারজন মিলে একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে করে রওনা হই।
“এক পর্যায়ে আমাদের গাড়িটি শাহপরীর দ্বীপ তিন রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এনামুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে কয়েকজন দা, লম্বা কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে ইজিবাইকের গতিরোধ করে।”
তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে প্রাণ রক্ষার্থে রেজাউল করিমসহ চারজন গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। পরে ধাওয়া করে রেজাউল করিমকে ধরে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। “
মোহাম্মদ আয়াছ বলেন, স্থানীয়রা আহত রেজাউলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নওশাদ আলম কাকন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি ওসমান বলেন, জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলার মামলায় রেজাউল করিম প্রধান আসামি ছিল। এর জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
তিনি বলেন, তারপরও খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।