“ভারত থেকে আসা যাত্রীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজন যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।”
Published : 18 Aug 2024, 09:01 PM
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে 'এমপক্স' বা 'মাঙ্কিপক্স' প্রতিরোধে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মরিয়ম খন্দকার জানান, শনিবার থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিম বেনাপোল চেকপোস্টে কাজ শুরু করেছেন।
মরিয়ম বলেছেন, “ভারত থেকে আসা যাত্রীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজন যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা।
“উপসর্গ নিশ্চিত করতে চোখ, হাত ও পা পরখ করে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই জাতীয় কোন লক্ষ্মণ ইনকামিং যাত্রীদের মধ্যে দেখা যায়নি।”
মাঙ্কিপক্স হারিয়ে যাওয়া গুটি বসন্তের মত, তবে তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর এবং সংক্রমণ বেশি ছড়ায় না। এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ।
এমপক্স ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় এই বিষয়ক একটি সতর্কবার্তা লাগানো হয়েছে ইমিগ্রেশনের গেইটে। সেখানে লেখা হয়েছে,-'সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনে, ব্যবহার করা কাপড়, সুই বা অন্যান্য জিনিসের মাধ্যমে, আক্রান্ত প্রাণী শিকার করা, কাটা বা রান্না করার সময়, কম তাপ মাত্রায় রান্না করা আক্রান্ত প্রাণীর মাংস খেলে, এমনকি গর্ভবতী মায়েদের থেকে তাদের অনাগত শিশুর কাছেও ভাইরাসটি যেতে পারে।'
করোনা মহামারীর পর এবার উদ্বেগ তৈরি করেছে এমপক্স। সম্প্রতি আফ্রিকার দেশগুলোতে এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক’শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। পাকিস্তানেও শনাক্ত হয়েছে এই রোগ। বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থাও জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)।
এরই মধ্যে এমপক্স নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করা এমপক্স ঠেকাতে সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা (স্ক্রিনিং) শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন এয়ারলাইনসের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অবশ্য এখনও দেশে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়নি। তারপরও লক্ষণ দেখা গেলে সন্দেহভাজনদের দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন-১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।