পুলিশ সুপার বলেন, “তদন্তের স্বার্থে কাশিয়ানীর ওসিকে থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।”
Published : 06 Apr 2025, 08:23 PM
ঘুষ বাণিজ্যের তদন্তের মধ্যে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ওসিকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে রোববার দুপুরে ওসি মো. শফিউদ্দিন খানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সরকার পতনের পর থেকে সাধারণ মানুষকে মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে হয়রানি, অর্থ আদায় ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে ওসি শফিউদ্দিনের খানের বিরুদ্ধে। এমনকি কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেনের কাছে একটি এসি চাওয়ার অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এসব ঘটনা তদন্তে শনিবার একটি কমিটি করেন পুলিশ সুপার। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
তবে ওসি শফিউদ্দিন খান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এসবের কোনো সত্যতা নেই। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এজন্য তাদের লোকজন প্রযুক্তির ব্যবহার করে মিথ্যা কল রেকর্ড তৈরি করেছে।”
ইউপি সদস্যের কাছে এসি চাওয়ার অডিওর বিষয়ে তিনি বলেন, “উনার সঙ্গে আমার একবার মাত্র দেখা হয়েছে। মোবাইলে তার সঙ্গে কখনো কোনো কথা হয়নি।”
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “তদন্তের স্বার্থে কাশিয়ানীর ওসিকে থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”