“বাটার শোরুম থেকে লুট করা ছয় জোড়া জুতার ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে বিক্রির চেষ্টা করেন।”
Published : 08 Apr 2025, 02:52 PM
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে সিলেটে ‘বাটার শোরুম থেকে লুট করা জুতার’ ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে বিক্রির চেষ্টার করার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া একই সময় নগরীর বিভিন্ন দোকান-রেস্তোরাঁয় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আরও ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানিয়েছেন।
আটকরা হলেন- সিলেট নগরীর কাজীটুলা এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন (১৯), একই এলাকার আরব আলীর ছেলে ইমন (১৯), দ্বীনই সলামের ছেলে মো. রাকিব (১৯), লাল সাদ আহমদের ছেলে মিজান আহমদ (৩০), সওদাগরটুলা এলাকার আবুল বাশার মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মোতালেব (৩৫), গোয়াইটুলা এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাব্বির আহমদ (১৯), কোম্পানীগঞ্জের ফরিদ মিয়ার ছেলে জুনাইদ আহমদ (১৯), মিরেরময়দান এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. রবিন মিয়া (২০), শাহী ঈদগাহ এলাকার মো. মহছন আহমদের ছেলে মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দরগাহ গেইট এলাকার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট এলাকার শামীম আহমদের ছেলে মো. রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুন বাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মো. তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের সেলিম রেজার ছেলে আল নাফিউ (১৯) ও নোয়াখালীর চাদমিল থানার পশ্চিম নাহার কিল গ্রামের সৈয়দ আলতাফ মানিকের ছেলে সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯)।
ওসি জিয়াউল বলেন, “তাদের মধ্যে আল নাফিউকে মঙ্গলবার ভোরে নগরীর শিবগঞ্জের সাদিপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি বাটার শোরুম থেকে লুট করা ছয় জোড়া জুতার ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে বিক্রির চেষ্টা করেন। তিনি সেখানে যোগাযোগ করার ঠিকানা ও একটি মোবাইল নম্বরও দেন।
“পরে তার ওই পোস্টের সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে লুটের ছয় জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।”
ইসরায়েলি কোমল পানীয় বিক্রি করায় সোমবার দুপুরে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসি রেস্টুরেন্ট হামলা-ভাঙচুর শুরু করে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এ সময় তারা কেএফসির ভেতরে থাকা বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে।
একই সময়ে নগরীর দরগাহ গেইট এলাকায় বাটা জুতার শোরুমে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। জিন্দাবাজার এলাকায় বাটার দুটি শোরুম ভাঙচুর করে মালামাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বন্দরবাজার এলাকায় বাটার শোরুম ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও নগরীর আম্বারখানা পয়েন্টে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ভাঙচুর-লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে নজরদারি চলছে। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’’